loader
Top-header/

নিউমোনিয়া_সমাচার

18 Jun 2020

নিউমোনিয়া একটি ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ। এটি ফুসফুসের প্যারেনকাইমার একটি প্রদাহ বিশেষ। 

সাধারণত ব্যাকটেরিয়া(নিউমোকক্কাস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, স্ট্রেপটোকক্কাস, মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদি।), ভাইরাস (ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস ইত্যাদি।)ও ছত্রাকের সংক্রমণ এবং হঠাৎ ঠান্ডা যুক্ত স্থানে উম্মুক্ত হওয়ার কারণে এই রোগ ছড়াই। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে ফুসফুস পুঁজ বা অন্য কোন তরল পদার্থ দ্বারা পূর্ন হয়ে যায়, ফলে অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশাস নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
নিউমােনিয়া সাধারণত শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, যারা দীর্ঘদিন যাবৎ রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এছাড়া তরুণ বা স্বাস্থ্যবানদের মাঝেও এই রোগ ছড়াতে পারে। সেভ দ্য চিলড্রেন এর মতে, নিউমোনিয়ার বাংলাদেশে প্রায় প্রতি ঘন্টায় একটির বেশি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া ২০১৮ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশে ৫ বছরের কমবয়সী  ১২ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়। ঐ সালে দেশে মৃত্যুবরণ করা শিশুদের মধ্যে ১৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়।

তবে স্বস্তির বিষয় “বার্ষিক গ্লোবাল চাইল্ডহুড রিপোর্ট-২০১৯” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ শিশু মৃত্যু হ্রাসে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

উপসর্গ সমূহঃ

. জ্বর

. কাশি

. শ্বাসকষ্ট 

. ক্লান্তি অনুভব করা 

. কাঁপুনি

. ঘাম হওয়া

. মাংসপেশিতে ব্যাথা

বিপদজনক চিন্হঃ

. শ্বাসকষ্ট

. জ্ঞান হারিয়ে ফেলা

যাদের ক্ষেত্রে প্রবণতা বাড়েঃ 

. যারা ধূমপান করে। 

. যাদের শ্বাসনালীতে ইনফেকশন আছে।

. যারা মদ পান করে।

. বয়স্ক ব্যক্তি।

. যারা গ্লুকোকর্টিকয়েড থেরাপি নিচ্ছে। 

. যারা সাম্প্রতিক সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

. যারা HIV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। 

শনাক্তকরণঃ

. বুকের এক্স-রে

. রক্ত পরীক্ষা 

চিকিৎসাঃ

. অ্যান্টিবায়োটিক

. অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে হবে।

. ফ্লুইড ব্যালেন্স করতে হবে।

. নিউট্রশন সাপোর্ট দিতে হবে।

প্রতিরোধঃ

. ভাল করে হাত পরিস্কার করতে হবে।

. নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে। 

. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

. সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

. সময়মতো নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে।

. প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

. হাঁচি/কাশির সময় মুখের সামনে রুমাল/টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।

. ধূমপান করা যাবে না।

. যেখানে সেখানে থু থু ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

Latest Blogs

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স কী?

যদি কারও শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ হয় এবং সেই রোগ নিরাময়ে কেউ যদি চিকিৎসকের পরামর্শমত সঠিক পরিমাণে এবং পর্যাপ্ত...

Professional Certification Courses on Health Sector Management

Professional certification courses on health sector management are arranged by Bangladesh Doctors' Foundation in collaboration...